শিরোনাম
বিআরটিএতে সিল মেকানিকদের দাপট
Passenger Voice | ১২:৩৪ পিএম, ২০২২-১০-২৪
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ে কথিত নিয়োগে চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে অঘোষিত কর্মকর্তা সেজেছেন দুই প্রভাবশালী। এনিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তারা হলেন- কথিত স্পিড গভর্নর সিল মেকানিক এম.কামাল উদ্দিন ও সহকারী সিল মেকানিক বিজন চন্দ্র সরকার।
অভিযোগ উঠেছে, ওই দুই ব্যক্তি সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী না হয়েও বিআরটিএ কার্যালয়ে নিয়মিত অফিস করছেন। ফাইলের স্তূপ সামনে নিয়ে অফিস কর্তাদের মতোই নির্দিষ্ট চেয়ার-টেবিলে বসে তারা হাঁকডাক ছুড়ে নিয়মিত তটস্থ রাখছেন সেবা গ্রাহীতাদের। এনিয়ে অসহায় সেবাগ্রহীতারাও।
জানা যায়, অফিস কর্তারা থাকলেও এই বিআরটিএ'র অনেক কিছুই চলে প্রভাবশালী এই দুই ব্যক্তির অঙ্গুলি হেলনে। ফলে যখন যে কর্মকর্তা এই অফিসে যোগ দেন, তাদের প্রত্যক্ষ মদদেই চলেন তারা।
সম্প্রতি সরেজমিনে ময়মনসিংহ বিআরটিএ আঞ্চলিক কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কামাল উদ্দিন। বলেন, বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমি এই অফিসে স্পিড গভর্নর মেকানিক হিসেবে কাজ করছি। অফিস কর্তারাই আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমার মতো বিজন চন্দ্র সরকারও সহকারী স্পিড গভর্নর মেকানিক হিসেবে কাজ করছেন।
তবে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিজন চন্দ্র সরকারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ, বিআরটিএ’র মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী না হয়েও কীভাবে প্রায় ১৫ বছর ধরে নিয়মিত অফিস করেন বহিরাগতরা।
অথচ বিআরটিএ অফিসে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে দালালদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও খোদ অফিসের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন নিতে পারে না।
এছাড়াও সরকারের সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে আবেদন করে হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে এর কোনো নজির নেই বলেও জানান একাধিক ভুক্তভোগী।
এদিকে দুই ব্যক্তির নিয়োগ বিষয়ে জানতে বিআরটিএ ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এএসএম ওয়াজেদ হোসেনর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল খবিরুল বলেন, আমি যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তারা এখানে কাজ করছেন। শুনেছি বিজন চন্দ্র কামাল উদ্দিনের লোক। এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, তারা আগে থেকেই এই অফিসে কাজ করছেন। তাদের সরকারি কোনো নিয়োগ নেই, তবে কাজ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানি। বিষয়টি সহকারী পরিচালক ভালো বলতে পারবেন।
সূত্র: বাংলা নিউজ ২৪.কম
প্যা.ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত